প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩, ০২:১৯ এএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চির মাংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক ভোক্তা। এরপর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, কাচ্চিতে খাসির মাংসের নামে অন্য প্রাণীর মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। তবে সুলতান’স ডাইন বলছে, এসব অভিযোগ সত্য নয়। মাংস নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষার দাবি জানান তারা।
সুলতান’স ডাইনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল আলম বলেন, ‘তারা সরাসরি এসে খাবারটা নিয়ে যান। তারা একটি ব্যাংকে কর্মরত। সাতটা হাফ কাচ্ছি নিয়ে যান এখান থেকে। নিয়ে যাওয়ার আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর তারা ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান। ফোন দিয়ে আমাদের একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন। তারা ফোন করে বলেন, ‘আপনারা বাটপাড়ি ব্যবসা করেন, খারাপ ব্যবসা করেন। আপনারা এই ধরনের খাবার কিভাবে দেন।’ আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা (যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন) আমাকে বলেন, ‘ওই ব্যাটা, তরা বাটপাড়ি ব্যবসা করস। তরা খাবারে এসব দেস।’ আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কী দেই? তারা বলেন, ‘তরা হাতি-ঘোরা কী দেস! বিড়ালের মাংস দেস।’ বিষয়টি আমি তাদের বুঝিয়ে বলি। আমি তাকে বলি, ‘আপনারা চাইলে আমাদের রান্নাঘর পরিদর্শন করতে পারেন। এসে দেখেন আমরা কিভাবে খাবারটা প্রক্রিয়া করি।’
সুলতান’স ডাইনের এই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আরো বলেন, ‘আমাদের খাসিগুলো ছয় কেজি থেকে সাড়ে ছয় কেজি, আট কেজি বা ৯ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এর বেশি হতে পারে না। কারণ খাসি এর থেকে বেশি বড় হলে গোশত সিদ্ধ হবে না। এমন বেশি ওজনের খাসি দেওয়া যাবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট থেকেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যারা কাচ্চি নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের আবার খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করে সুলতান’স ডাইন- এমনটি জানিয়ে আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, খাবার নিয়ে যেতে যেতেই আবার ফোন করে তারা। তারা আমাকে হুমকি দেয়। বলে, ‘আমি কী এটা ভাইরাল করে দেব। র্যাবকে ফোন করে কি ধরিয়ে দেব?’
আরিয়ানএস/