• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

গুলিস্তানে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ জানাল বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

গুলিস্তানে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ জানাল বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট

গুলিস্তানের কাছে সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের একাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে গুলিস্তানের কাছে সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এসির গ্যাস থেকে হয়নি বলে জানিয়েছে র‌্যাবের বোম্প ডিস্পোজাল ইউনিট।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট আর ডগস্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে র‌্যাব। পরে তারা জানায়, এসির গ্যাস থেকে এতো বড় বিস্ফোরণ হতে পারে না। যেহেতু বিস্ফোরণের সূত্রপাত আন্ডারগ্রাউন্ডে তাই তাদের ধারণা গ্যাস লিকেজ কিংবা সুয়ারেজ গ্যাস চেম্বার থেকে হতে পারে এমন দুর্ঘটনা।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, ১ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে সবদিক বিবেচনা করেই তদন্ত করা হচ্ছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নাশকতা, সেপটিক ট্যাংক ও সুয়ারেজ লাইনের গ্যাস সব কিছুই বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।’


এদিকে বিস্ফোরণ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটি পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপতত আশপাশের অপারেশন চালিয়ে যাবে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 
বাকি তিন সদস্যের নাম পরে জানানো হবে। তদন্ত কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 
তবে তদন্ত শেষ হবার আগেই গণমাধ্যমের সামনে তিতাস জানিয়ে দিয়েছে, এটি গ্যাস লিকেজের দুর্ঘটনা নয়। আর রাজউক বলছে, এখনো তারা নিশ্চিত নয় এ ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বৈধ কি-না।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের কাছে সিদ্দিকবাজারের এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
এ বিস্ফোরণ ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
হাসপাতাল থেকে বাকি ১টি মরদেহ আগেই স্বজনরা একরকম জোর করে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণে আহত হন শতাধিক।

 

আরিয়ানএস/

আর্কাইভ