• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু টানেলের ৯৬.৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম

বঙ্গবন্ধু টানেলের ৯৬.৫ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ

ছবিঃ সংগৃহীত

সিটি নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৯৬.৫ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, টানেলটি দুটি শহরের একটি নগরীতে পরিণত হবে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিয়মাণ প্যাসেজওয়েটি শিগগিরই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। টানেল নির্মাণের ৯৬.৫ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে এবং মেকানিক্যাল কমিশনিংয়ের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অ্যাপ্রোচ রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু টানেলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম
প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম টিউবের সিভিল কাজ শেষ হয়েছিল এবং ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই টিউবের এই টানেলের প্রথম টিউবের পূর্ত কাজ সমাপ্তি উদযাপন উদ্বোধন করেছিলেন।

হারুন বলেন, টোল প্লাজা সংক্রান্ত ক্রস প্যাসেজ ও টানেলের নির্মাণ কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। দুটি টিউবের চার লেনের কাজ শেষ ছাড়াও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি টানেলের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের প্রথম টানেলটি এ অঞ্চলের  যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করবে। একবার টানেলটি চালু হলে, এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের জন্য গেম চেঞ্জার হবে, যা দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগ সমস্যার সমাধান করবে।

বঙ্গবন্ধু টানেল: আরেকটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের অপেক্ষা
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ১১ মিটার ব্যবধানে ৩৫ ফুট চওড়া এবং ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেল দিয়ে যেতে পারে। নির্মাণাধীন টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪০ কিলোমিটার এবং ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি একটি ৭৪০ মিটার সেতুর সঙ্গে মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে, প্রধান বন্দর নগরী এবং কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশকে নদীর পূর্ব দিকে এবং আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে মোট ৭৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে প্রথম টানেল টিউবের খনন কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। এ টানেলের যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলবে। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।  

 

সাজেদ/

আর্কাইভ