• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণ

জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ, ধারণা ফায়ার সার্ভিস ডিজির

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম

জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ, ধারণা ফায়ার সার্ভিস ডিজির

ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে গতকাল যে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটাকে দুর্ঘটনা দাবি করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, এটা ম্যাসিভ দুর্ঘটনা। এটা অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবত দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা।


সোমবার(৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এর ভেতরে পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সীতুকুণ্ডে বিস্ফোরণ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, এর মধ্যে রাজধানীর সায়েন্সল্যাবেও বিস্ফোরণ। এসি বিস্ফোরণ নাকি অন্য কিছু থেকে সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণ? জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ডিজি বলেন, দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্সল্যাবের ঘটনা তা জানতে আমি নিজে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা একটি টিম পাঠিয়েছিলেন। তারা সেখানে কাজ করেছেন। তাদের বোম ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা  বিস্ফোরকজাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে, নাশকতার কোনো আলামত পাইনি। এটা এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবতঃ অনেকদিন এক জায়গায় জমে থাকা গ্যাস থেকে কোনো কারণে বিস্ফোরণের সূত্রপাত। এটা দুর্ঘটনা ছাড়া আমার মনে হয় অন্য কিছু নয়।


পুরান ঢাকার নিমতলী ও চুরিহাট্টার ঘটনার পরও কেমিকেলের গোডাউন ও কারখানা সরানো যায়নি। এ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, সরকার কেমিকেল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কেমিকেল গোডাউন করা বা কারখানা স্থাপনের জন্য পুরান ঢাকায় কোনো এনওসি বা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে এখনো যা হচ্ছে সম্পূর্ণ অবৈধ। আমার বা ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো তদন্ত করা, মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা।

ফায়ার সার্ভিস সব সময় সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকে উল্লেখ করে ডিজি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। আমরা বিদেশেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছি। আমাদের ফায়ার সার্ভিস তুরস্কেও ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করেছে। আমাদের প্রত্যেকটি ফায়ার ফাইটার প্রশিক্ষিত। আমাদের জনবলকে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ভলান্টিয়ারদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ