প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৩:৫৯ এএম
লালমনিরহাটে জেএমবি সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া দুজনের খোঁজ মিলছে না।
পরিবার বলছে, কারাগার থেকে বের হওয়ার পরেই গেট থেকে তাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে জানা যাবে আসলে ঘটনা কী ?
নিখোঁজ হওয়া ওই দুজন হলেন জামাল উদ্দিন ও মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান। লালমনিরহাট সদর থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার রাতে জামাল উদ্দিনের বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ ও মেহেদী হাসানের বাবা মো. আবদুল লতিফ এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ জানান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটের একটি আদালত দুই জেএমবি সদস্যের আলাদা আলাদা তিনটি রায়ে ৪২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। একই আদালত মামলায় খালাস দেয় হাসানুল বান্না, জামাল উদ্দীন, নাহিদ হাসান ও মেহেদী হাসান নামের চার আসামিকে।
নিখোঁজ দুজনের পরিবার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে জামাল উদ্দিন ও মেহেদী হাসান জেলা কারাগারে ছিলেন। আর একজন পলাতক ও একজন জামিনে মুক্ত ছিলেন।
সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে খালাস পাওয়ার পর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জামাল ও মেহেদী জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পান। বের হয়ে জেল গেট ও মসজিদের কাছে থেমে থাকা মাইক্রোবাস থেকে ৮ থেকে ৯ জন মাস্ক পরা লোক তাদের জোর করে তুলে নিয়ে চলে যান।
জামাল উদ্দিনের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি আমার নির্দোষ ভাইকে ফেরত চাই। যারাই নিয়ে যাক, সে নির্দোষ বলেই তো আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।
মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, আমার ছেলের দোষ থাকলে তো আদালত খালাস দিতো না। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পৃর্থক পৃর্থক দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে আসলে কি ঘটনা ।
সাজেদ/