প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৩:২৭ এএম
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকসানের প্রতিষ্ঠান নয়, এটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ জন্য দেশের সকল জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল মিটার গেজ রেললাইন ব্রডগেজে উন্নীত করা হচ্ছে। আর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ডাবল লাইন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন প্ল্যাটফর্মের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জংশন স্টেশনে পুনর্নির্মিত ফুটওভার ব্রিজ ও আধুনিক পাবলিক টয়লেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়েতে ৪৮ হাজার লোকের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ২৫ হাজার জনবল রয়েছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে রেলওয়ের নিয়োগ বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিন হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রত্যেকটি জেলার সঙ্গে রেল সম্প্রসারিত করতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সকল মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হবে। একই সঙ্গে ডাবল লাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। কারণ দেশের জনগণ ট্রেন চাচ্ছে। তাই ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ও সময় কমিয়ে ঈশ্বরদী-রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রেলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ সহজকরণে প্রতিটি সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ দিয়ে ডাবল লাইনের আলাদা রেল সেতুর নির্মাণকাজ চলছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, দেশ এখনো স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে বারবার চেষ্টা চালিয়েছে। ধর্মের নামে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। তারাই এখন স্লোগান দেয় ‘আমরা হবো তালেবান, দেশ হবে আফগান’। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মাদ কুদরত ই খুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তার সাথী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাজেদ/