• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি কারাগারে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ১০:১১ পিএম

ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আরজু ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত সোমবার (১৬ জানুযারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামি সংক্রান্ত প্রতিবেদন পুলিশকে দাখিল করতে দিন ধার্য করেন।

২০০০ সালের ডিসেম্বরে এক গৃহবধূর চাচার মাধ্যমে আরজুর সঙ্গে পরিচয়। ওই সময় জানায় তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। ২০০১ সালে গৃহবধূকে আরজু জানান, তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম হয় এবং ২০০৩ সালে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

বাদীর অভিযোগ, তাকে ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার কথা বললে ১৮ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে সব টাকা আসামিকে দেয়া হয়। কিন্তু আরজু ফ্ল্যাট কেনা কিংবা টাকা ফেরত দেননি।

একপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আরজুর প্রথমপক্ষের স্ত্রী জীবিত। আরও জানতে পারেন, বিবাদী এর আগে বাদীর কাছে নিজের নাম ফারুক হোসেন হিসেবে প্রচার করলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। মিথ্যা তথ্য ও পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বাদীকে বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন। এরপর আসামি কয়েকবার নিজে ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা বাদীকে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে, গর্ভপাত ও ঔরসজাত কন্যার পিতৃপরিচয় সরাসরি অস্বীকার করেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২২ এপ্রিল এক আইনজীবী আদালতে মামলা করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দী নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন। অভিযোগ তদন্তের পর ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ট্রাইব্যুনালে গত পাঁচ জানুয়ারি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন।

মামলার তদন্তে বাদীর কন্যাসন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে কন্যাসন্তান বাদীর গর্ভজাত এবং বিবাদীর জন্মদাতা বাবা বলে প্রতিবেদন উঠে আসে।

 

এএল/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ