• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মোস্ট ওয়ানটেড তিন জঙ্গিকে খুঁজছে সিটিটিসি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৮:০১ পিএম

মোস্ট ওয়ানটেড তিন জঙ্গিকে খুঁজছে সিটিটিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন জামায়েতুল আনসার ফিল হিন্দিশ শারক্বীয়ার নায়েবে আমির শায়েখ মো. মোহিবুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুহিবুল্লাহ হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালে যে কয়েকজন নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাঁদের মধ্যে মুহিবুল্লাহও একজন। বিভিন্ন এলাকা থেকে কথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে ৫৫ তরুণ ঘর ছাড়ার পর ভোলার শায়েখের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুহিবুল্লাহ ভোলার আনাস বিন মালেক (রহ.) কমপ্লেক্সে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলা সদরের চর শিফলী এলাকায়। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পড়াশোনা করেছেন। ওই সময় সেখানে হুজিবির শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুর রউফের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। 

রউফ নিয়মিত ওই সময় হাটহাজারীর বিভিন্ন গোপন আস্তানায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেন। হুজিবির প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মুহিবুল্লাহর। হুজিবির পর মুহিবুল্লাহ কিছু দিন জঙ্গিদের আরেক প্ল্যাটফর্ম হামজা ব্রিগেডে যুক্ত হন। সেখানে যুক্ত হলেও হুজিবির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন

সিটিটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে হুজিবির আরেক দুর্ধর্ষ জঙ্গি আবু সাঈদের নির্দেশে সংগঠনটির অন্য নেতা মাঈনুল ইসলাম রক্সি একটি গোপন জায়গায় মুহিবুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন। দেখা করার বিষয়টি আরেক জঙ্গি শামীন মাহফুজ জানতেন। শামীন ও সাঈদ চাইতেন মুহিবুল্লাহ যেন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। ওই সময় তাঁরা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের দলছুট সদস্যদের একজোট করে নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরির ছক কষছিলেন। 

গত বছরের জানুয়ারিতে নতুন জঙ্গি সংগঠনের আরেক সদস্য ডা. শাকের বিন শিশিরের সঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়িতে যান মুহিবুল্লাহ। ২০ দিন পাহাড়ের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবস্থান করেন তিনি। সংগঠনটির সদস্যদের মতের ভিত্তিতে নতুন জঙ্গি সংগঠনের নায়েবে আমির হন ‘দাদু ভাই’খ্যাত এই মাদ্রাসা শিক্ষক। আমির নিযুক্ত হন আনিছুর রহমান তমাল।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দাওরায়ে হাদিসে (তাকমিল) পড়াশোনা করায় মুহিবুল্লাহকে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সমীহ করতেন। তরুণদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বয়ান করতেন তিনি।

 

 

এএল/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ