প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৩:১৪ এএম
তুরস্কে উদ্ধার অভিযান শেষে দেশে ফিরেছে ৪৬ সদস্যের সম্মিলিত বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দল। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা।
এ সময় বিমানবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক তাদের বরণ করে নেন।গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কাজে অংশ নিতে ৬০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল ঢাকা ত্যাগ করে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ২৪ জন, ফায়ার সার্ভিসের ১২, চিকিৎসক ১০ ও বিমানবাহিনীর ছিলেন ১৪ জন।
১৫ ফেব্রুয়ারি উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। তবে তুরস্ক সরকারের অনুরোধে বাড়ানো হয় উদ্ধার অভিযানের মেয়াদ। সোমবার মধ্যরাতে আদানা বিমানবন্দর থেকে বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বাংলাদেশের পথে রওনা হন।
স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরপরই তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত ও মৃতদের উদ্ধার কাজ শুরু করে বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দলটি। কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা পেয়েছেন দলের প্রতিটি সদস্য।
তুরস্কের প্রশাসনিক পর্যায়েও বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে।
তুরস্কে গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি। এর কেন্দ্র ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। এরপর ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে একই অঞ্চলে আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি। এছাড়াও আরও অনেক ছোটো ছোটো ভূকম্পন হয়েছে।
এদিকে, সোমবারও দেশটিতে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তিন জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এছাড়াও ভূমিকম্পে হাতায় প্রদেশের আন্তাকিয়া শহর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আল-জাজিরার সর্বশেষ তথ্যমতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্কে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর সিরিয়ায় ছয় হাজার জনের মৃত্যুর তথ্য জানা গেছে।
আরিয়ানএস/