• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শহীদ মিনার থেকে বইমেলায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ১২:৫২ এএম

শহীদ মিনার থেকে বইমেলায় মানুষের ঢল

শহীদ মিনার থেকে বইমেলায় মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হাজারো বাঙালি। শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পরই বইমেলায় ভিড় করতে থাকেন বইপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বইমেলা ঘুরে বইয়ের প্রতিটি স্টলেই বইপ্রেমীদের ভিড় দেখা গেছে।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকেই খুলে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েই বইপ্রেমীরা চলে এসেছেন মেলায়। তাই, মাতৃভাষার বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডারের রস আস্বাদনে মগ্ন শিশু-কিশোর-প্রবীণদের প্রাণচঞ্চল উপস্থিতিতে দিনের শুরু থেকেই বইমেলা জমে উঠেছে।


আজ বইমেলায় অনেকেই শোকের বার্তাবাহক কালো পোশাকে এসেছেন। পুরুষরা পরেছেন কালো পাঞ্জাবি আর নারীরা এসেছেন কালো শাড়ি পরে। শিশুদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল দিয়েই বিরাট একটা অংশ বইমেলার দিকে চলে এসেছে। এতে মেলায় বইয়ের বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে।
সাবিনা ইয়াসমিন বইমেলায় এসেছেন রামপুরা থেকে। তিনি বলেন, ‘আমরা তিন ভাইবোন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েই চলে এসেছি বইমেলায়। আজ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই কিনব।‍‍`
সায়মা নামে আর এক দর্শনার্থী বলেন, ‘আজ বান্ধবীরা মিলে কালো শাড়ি পরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। এরপর বইমেলায় এসেছি, যদিও এখানে আসার কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। তবে, এসে খুব ভালো লাগছে এবং ভাবছি কয়েকটা বই কিনেই যাব।’
বইমেলায় আসা শাকিল আহসান নামে একজন বলেন, ‘আমার বাসা পুরান ঢাকায়। আমি কাপড়ের ব্যবসা করি। স্ত্রীসহ দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সপরিবারে এসেছি। সকালে ওদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে, ওখানে কিছু ছবি তুলে বইমেলায় এলাম। ওদের ভালো কিছু বই কিনে দেবো। ওরা এই প্রথমবার বইমেলায় এলো।’
সরলরেখা প্রকাশনীতে কর্মরত রিভা বলেন, ‘আজ তুলনামূলক দর্শনার্থী ও পাঠকের পরিমাণ বেশি। আজ বইয়ের বেচাকেনাও বেশি হচ্ছে।’
অবসর প্রকাশনীর শান্ত বলেন, ‘আজ মেলার শুরু থেকেই লোকজন বেশি দেখা যাচ্ছে। এজন্য বেচাবিক্রিও বেশি হচ্ছে। আজ গল্প, উপন্যাস, আত্মজীবনী ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিষয়ক বইয়ের চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’

 

আরিয়ানএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ