প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১, ১০:০২ পিএম
রাজধানীর কদমতলীতে মা, বাবা ও
বোনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মেহজাবিন
ইসলাম মুন দায় স্বীকার
করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৪ জুন) ঢাকা মহানগর
হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার
আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে
জবানবন্দি দেন তিনি।
চার
দিনের রিমান্ড শেষে আজ মেহজাবিনকে
আদালতে হাজির করা হয়। ওই
সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন মেহজাবিনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতও হন
মেহজাবিন। এরপরই তার জবানবন্দি রেকর্ড
করা হয়। এরপর তাকে
কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ
বিচারক।
এর
আগে রোববার (২০ জুন) মেহজাবিনকে
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওই
দিন আসামির সাত দিনের রিমান্ডের
আবেদন করেন জাকির হোসেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর
হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার চার দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চলতি
মাসের ১৯ জুন সকালে
কদমতলীর মুরাদপুরে পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে তিনজনের
মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা
হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী
মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের
ছোট মেয়ে জান্নাতুল (২০)। সেখান থেকে
অচেতন অবস্থায় মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও মেয়ে তৃপ্তিকে
উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মা,
বাবা ও বোনকে হত্যা
করে নিজেই জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ
ফোন দিয়ে সব কিছু
জানান মেহজাবিন। এ ঘটনায় মেহজাবিন
ও তার স্বামী শফিকুলকে
আসামি করে হত্যা মামলা
করা হয়। নিহত মাসুদ
রানার বড় ভাই সাখাওয়াত
হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি
করেন।
মামলার
পরে শফিকুলকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে
পুলিশ। পরে ২১ জুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে তাকে হাজির করা
হয়। ওই দিন শফিকুলের
তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারের
পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও মেহজাবিন তার বাবা, মা
ও বোনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
তবে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ঘটে যাওয়া
এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও কোনো কারণ
লুকিয়ে আছে কি না
এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় আর
কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা
নেবে পুলিশ।
মামুন/এম. জামান