• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বিনম্র শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বিনম্র শ্রদ্ধা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একুশের ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তারা। 
রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‍‍`আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি‍‍` বাজানো হয়। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদসবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ৩ বাহিনীর প্রধানগণ, আওয়ামী লীগের সিনিয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শহীদ বেদীতে ফুল দেন।


শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতারা। বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা শহীদ মিনারে ফুল দেন। ১৪ দলের পক্ষ থেকে হাসানুল হক ইনু, অসীম কুমার উকিল ও আফজাল হোসেন ফুল দেন।

সহকর্মীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষ হলে শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেয়া হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষে লাইন আরও দীর্ঘ হয়। ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় সব বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষকে।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ