• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

গুলশানে অগ্নিকাণ্ড : ভোরেও ছিল ধোঁয়া, চলছে তল্লাশি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৫:০০ পিএম

গুলশানে অগ্নিকাণ্ড : ভোরেও ছিল ধোঁয়া, চলছে তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গতকাল রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গুলশানের ভবনটি থেকে আজ ভোরেও ধোঁয়া বের হয়েছে। ভবনটিতে বর্তমানে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা, গুলশান পুলিশ ও ভবন মালিক ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

সোমবার সকালে গুলশান-২ এর ১০৪ নং সড়কের ২/এ ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এখনও উৎসুক জনতার ভিড়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ সদস্য। আগুন নেভার পরই ভবনটিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সকালেও সেখানে চলছে তল্লাশি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ভেতরে কোনো মরদেহ রয়েছে কি না, কোথাও আগুনের কুণ্ডলী কিংবা এখনও ধোঁয়া উড়ছে কি না তা দেখা হচ্ছে।

ভবন থেকে বের হওয়া একজন ফায়ার ফাইটার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুন নিভলেও ভবনটির সপ্তম তলায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। সেখানে নতুন করে পানি দেওয়া হয়েছে। আগুনের সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।  

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটির সিঁড়ির পাশেই ঘটনা ঘটেছিল। বের হওয়াতে ঝুঁকি থাকার কারণে অনেকেই আটকা পড়েন। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে আগুন নির্বাপণসহ অনেক লোক উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে একটু পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে। ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তল্লাশি অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, গুলশানে আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সদস্য হিসেবে থাকবেন উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স), ঢাকার সহকারী পরিচালক, গুলশান জোনের উপসহকারী পরিচালক ও স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২তলা ভবনটির ৭ম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে মোট ১৯টি ইউনিট নেভানোর কাজে যুক্ত হয়।  

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের ঘটনায় ভবনটি থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৭ জন।

এ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আনোয়ার।  নিহত আনোয়ারের ছোট ভাই জুলহাস হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুন লাগার পর আমার ভাই ওই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে আমার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। তিনি ওই ভবনের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন।

আর্কাইভ