• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘কবিগুরুর ভাস্কর্য গুম: রাষ্ট্রের ভয়াবহতার প্রমাণ’

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ১২:৪৮ এএম

‘কবিগুরুর ভাস্কর্য গুম: রাষ্ট্রের ভয়াবহতার প্রমাণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য গুম এবং তা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

তিনি বলেন, দেশে মুক্তচিন্তা ও মত-প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বাধা ও সকল ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে সংগ্রামী ছাত্রসমাজ কর্তৃক তৈরি ও স্থাপিত রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যটি গুম হওয়া এবং পরিশেষে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ‘জাতীয় সংগীত’ রচয়িতার ভাস্কর্য আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

রবিবার জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ রাতের আঁধারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রতিবাদী ভাস্কর্য সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহতা প্রমাণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রবি ঠাকুরের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ঠিক কাজটি করেছে বলেও দাবি করেছে। কবিগুরুর ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ অর্থাৎ ভাঙা মাথাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আবর্জনার স্তুপে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এটাই কি কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের নিদর্শন! এভাবেই ফ্যাসিবাদের ন্যায্যতা তৈরি করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা বিদ্যমান অপশাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্তব্ধ করার প্রতিবাদেই রাজু ভাস্কর্যের পাশে রবি ঠাকুরের একটি প্রতীকী ভাস্কর্য অস্থায়ীভাবে স্থাপন করেছিলেন। 

পূর্বানুমতি নিয়ে ভাস্কর্য স্থাপন করা-প্রতিবাদী স্লোগান লেখার আইন মেনে চললে ‍‍`৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বা ‍‍`শহীদ মিনার‍‍` গড়ে উঠত না। পাকিস্তানিরাও রাতের আঁধারে শহীদ মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারিনি, তারাও পরাস্ত হয়েছে। বর্তমান অপশক্তির পরাজয়ও সন্নিকটে। 

বিবেক জাগ্রত শিক্ষার্থীরা ‍‍`গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’- লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়ার পরও সরকার বুঝতে পারছে না, সরকার কী ভয়াবহ আগুন নিয়ে ছাত্রদের সাথে খেলছে। সংগ্রামী ছাত্রসমাজ গণতান্ত্রিক ও মানবিক ভাবাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বিদ্যমান ভয়ঙ্কর অচলায়তন ভাঙ্গার নবশক্তিতে জেগে উঠছে। বল প্রয়োগ ও ভয়-হুমকি আর ভাস্কর্য ভেঙে দিয়ে বিবেকের কণ্ঠস্বরকে কোনদিন স্তব্ধ করা যাবে না। যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের সূতিকাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সেখানে আজ আন্দোলনকারী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেয়া হয় যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

সময় এসেছে ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক গণপ্রতিরোধের মুখে সমস্ত অপশক্তিকে প্রতিরোধ করার।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ