• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভোট চোরকে জনগণ কখনও মেনে নেয় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

ভোট চোরকে জনগণ কখনও মেনে নেয় না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটের ব্যাপারে সচেতন। কেউ যদি ভোট চুরি করে কেউ মেনে নেয় না।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ক্ষমতায় থেকে একটা নির্বাচন করেছিল, জনগণের ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। যেহেতু জনগণের ভোট চুরি করেছে, জনগণ কিন্তু মেনে নেয়নি। জনগণের আন্দোলনের ফলে ওই বছরই ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগের বাধ্য হয়েছিল। ভোট চোরকে জনগণ কখনও গ্রহণ করে না।

আজ (রোববার) সকালে কালশী বালুর মাঠে মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাবে না, কারও মুখাপেক্ষী হবে না। আমরা নিজের ক্ষেতের ফসল ফলাব, নিজের দেশকে উন্নত করব। কারও কাছে হাত পেতে চলব না। কারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছেন- ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা সম্মানের সাথে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। কারও কাছে হাত পেতে চলব না।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর। আমাদের যত অনাবাদী জমি আছে সেগুলো চাষ করার নিদের্শ দিয়েছি। সেই সাথে যার যতটুকু জমি আছে, এক ইঞ্চি জায়গা যেন খালি না থাকে। যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজেরটা নিজে খান বা কাউকে দেন, যাই করেন কিন্তু ফসল উৎপাদন আমাদের করতে হবে। নিজেরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করব এবং অন্যদের সহযোগিতা করব।  

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস, ৫০০ জায়গা বোমা, গ্রেনেড হামলা, দুর্নীতিতে ৫বার চ্যাম্পিয়ন... বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার লিস্ট দিয়ে ২০০৬ সালে নির্বাচন ঘোষণা করেছিল। জনগণ যখন বুঝতে পারল তারা ভোট চুরি করবে, আবার আন্দোলন, খালেদা জিয়ার আবার বিদায়। ভোট চোরকে এ দেশের মানুষ কখনও মেনে নেয় না, মেনে নেবেও না।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি অনেক কথা বলে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা তো পেয়েছিল মাত্র ২৯টি সিট, আর একটা উপ-নির্বাচনে। মোট ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল তারা। কাজেই আমরা দেশের উন্নয়ন করে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করেই জনগণের ভোটেই বার বার সরকারে এসেছি। এখন যতই এই ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করুক, আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। আর সেটা করতে পেরেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আজ বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা আছে, কেউ আর বাংলাদেশকে হেয় করতে পারবে না। নিচু চোখে দেখতে পারবে না। এখন বিদেশে বাংলাদেশের মানুষকে সমীহ করে। কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

কালশী বালুর মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।

আর্কাইভ