প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৪:৫৬ পিএম
সরকারের চূড়ান্ত হিসাবে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস গতকাল জনশুমারি ও গৃহগণনার এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এদিকে এর আগে জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে জনসংখ্যা দেখানো হয়েছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সে হিসাবে প্রাথমিক গণনায় বাদ পড়েছিল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন মানুষ।
বিআইডিএস প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গণনায় সব থেকে বেশি বাদ পড়েছিল সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকায় ৩ দশমিক ১৩, বরিশালে ২ দশমিক ৪২, চট্টগ্রামে ২ দশমিক ৮৬, রাজশাহীতে ২ দশমিক ১২, রংপুরে ২ দশমিক ২৭ এবং খুলনায় ২ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক গণনায় বাদ পড়েছিলেন। বন্যার কারণে সিলেট ও ময়মনসিংহে বেশি মানুষ গণনার বাইরে ছিলেন।
ওদিকে প্রাথমিক জনগণনার সময় শহরে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং গ্রামে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিলেন। উপজেলা সদরে ২ দশমিক ৬২, পৌরসভায় ২ দশমিক ৯৯ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এবারের জনশুমারিতে সব থেকে কম মানুষ বাদ পড়েছেন। সব থেকে বেশি বাদ পড়েছিলেন ২০০১ সালের জনশুমারিতে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ২০১১ সালের জনশুমারিতে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের জনশুমারিতে মাত্র ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছেন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, প্রাথমিক গণনায় যারা বাদ পড়েছিলেন তাদের সবাইকে গণনার মধ্যে নেয়া হয়েছে। এজন্যই আমরা এই কাজ সম্পাদন করেছি। এখন কেউ বলতে পারবেন না যে কেউ বাদ পড়েছেন।
মূলত বন্যার কারণে সিলেট এলাকায় বেশি মানুষ গণনার বাইরে ছিলেন। এ ছাড়া শহর এলাকায় বেশি মানুষ গণনার বাইরে ছিলেন। কারণ দেখা যায়, শহরে অনেকের বাসায় প্রবেশ করা যায় না। এ ছাড়া অনেকে কাজের জন্য সকাল সকাল বাসার বাইরে চলে যান।
এনএমএম/