• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করবে : আইজিপি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৪:০৮ এএম

পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করবে : আইজিপি

ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যশোর তথা দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসমুক্ত-জঙ্গিমুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের পাশে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সবসময় জনগণের পাশে থেকে সমাজের অবকাঠামো উন্নয়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে। আগামীতেও পুলিশ জনগণের পাশে থাকবে। এটি বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে যশোরে বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


পুলিশ প্রধান বলেন, আগামীর বলিষ্ঠ উন্নয়নে বাংলাদেশ পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। এর প্রমাণ যশোরের এই অনুষ্ঠান। এখানে পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশার মানুষের সমন্বয় হয়েছে।

আইজিপি বলেন, বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের প্রেক্ষিতে অপরাধ এবং অপরাধীর ধরনে পরিবর্তন হয়েছে। সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, মানবপাচার, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলার মাটি থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রত্যয় নিয়ে গঠিত পুলিশের বিশেষ ইউনিট এটিইউ, সিটিটিসিসহ অন্যান্য সকল ইউনিট সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কার্যক্রম দেশ-বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। ফলে জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করবে : আইজিপি

আইজিপি বলেন, মাদক, দুর্নীতি, সাইবার ক্রাইম ও অন্যান্য সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই সার্ভিস ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও সহজেই ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের জরুরিসেবা গ্রহণ করতে পারছে। এছাড়া নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের দৃঢ় অবস্থান, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পুলিশের সৃজনশীল উদ্যোগও ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আমাদের দেশের সম্মানকে উজ্জ্বল করেছে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ড. তৈয়বা মুসাররাত জাহান চেীধুরী। আরও বক্তব্য দেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক।

যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন, পুনাক যশোরের সভানেত্রী শ্রীমতি বিপ্লবী রানী, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. ফিরোজ কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান, সিনিয়র এএসপি (নাভারন সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান প্রমুখ। 

 

সাজেদ/

আর্কাইভ