প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৯:৪৯ পিএম
ডলার সংকটের কারণে যেখানে কালো পাথরে পরিণত হচ্ছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অর্থনীতি, সেখানে বাংলাদেশের কয়েক ব্যক্তি বাজারে ছাড়ছেন হাজারো ডলার।
অবাক হলেও সত্য উজ্জ্বল দাস ওরফে সোবহান শিকদার (৩৪), আব্দুর রশিদ (৫৫), মমিনুল ইসলাম (৪৬) ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামালের (৪০) মতো কয়েকজন অপরাধীর হাত ধরে দেশের বাজারে এসেছে জাল ডলার।
[
তিনি আরও জানান, অপরাধীরা প্রথম পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা ১ কোটি টাকার জালনোট, এরপর ২০ লাখ, প্রান্তিক ধাপে ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করতো। এজেন্টদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণের জালনোট প্রস্তুত করেও দিতেন তারা।
বাংলাদেশি টাকার ক্ষেত্রে তারা কম মূল্যমানের নোট, যেমন- ১০০ ও ২০০ টাকা জাল করছিলেন। খালি চোখে এসব নোটের জাল ধরা প্রায় অসম্ভব।
হারুণ-অর রশীদ বলেন, প্রায় ৮-৯ বছর ধরে চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মেয়াদে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন মূল্যমানের জাল নোট, ভারতীয় রুপি, আমেরিকান ডলারসহ রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত করে আসছিলেন। তাদের কাছে যে পরিমাণ জাল টাকা তৈরির কাগজ ও অন্যান্য উপকরণ পাওয়া গেছে তা দিয়ে আগামী রমজান-ঈদুল ফিতরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার জাল নোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাজারে ছাড়া হতো।
তিনি আরও বলেন, সস্তায় পেয়ে বাইরে থেকে ডলার কিনে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। এর দায় যে কিনবে তারই। কারণ, ডলার কেনা উচিত ব্যাংক অথবা কোনো অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে। আমরা এই চক্রটিকে গ্রেফতার না করলে পরদিনই জাল নোট আর স্ট্যাম্পগুলো বাজারে চলে যেতো। তাদের এমন কিছু এজেন্টের নাম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশবাসীকে ব্যাংক অথবা অনুমোদিত জায়গা থেকে ডলার কিনতে অনুরোধ করেছেন ডিবি প্রধান।
আরিয়ানএস/এএল