প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম
ওজন বাড়াতে ও অতিরিক্ত মুনাফার অর্জনে চিংড়িতে জেলি, পানিসহ নানা ক্ষতিকারক দ্রব্য পুশের কারণে বাজার হারাতে বসেছে চিংড়িশিল্প। এতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। আর চিংড়ির মান বজায় রাখতে চাষিরা যেন সরাসরি কোম্পানিতে বিক্রি করতে পারে সেই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় সর্বাধিক রফতানিকৃত পণ্য ছিল চিংড়ি। তবে গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক মহামারির পাশাপাশি নানা ক্ষতিকারক অপদ্রব্য পুশের কারণে রফতানি পণ্যের তালিকায় সপ্তম স্থানে নেমে এসেছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ওজন বাড়াতে এবং অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে চিংড়িতে জেলি, পানি, ভাতের মাড় এবং ক্ষতিকারক অপদ্রব্য পুশ করছে।
এ দিকে গত কয়েক বছর ধরে পুলিশ, র্যাব ও মৎস্য অধিদফতরের চিংড়িতে ভেজাল বন্ধে অভিযান সত্ত্বেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড থামছে না। এতে আবারও বিদেশের বাজার হারানোর আশঙ্কা করছেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা।
চাষি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছের মধ্যে জেলি পুশ করার কারণে ন্যায্য দাম মিলছে না। এতে মাছ বিক্রি কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া জেলি পুশ বন্ধে সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
আর অসাধু চক্রের বিরুদ্বে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলে আবারও চিংড়ি ব্যবসা জৌলুস ফিরে পাবে বলে মনে করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
ফকিরহাট মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার বলেন, জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তবেই চিংড়ি ব্যবসা আবার আগের জৌলুস ফিরে পাবে।
অপদ্রব্য পুশে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছে উপজেলা প্রশাসন। আর চিংড়ির মান বজায় রাখতে চাষিরা যাতে সরাসরি কোম্পানিতে বিক্রি করতে পারেন তার পরামর্শ দিচ্ছে মৎস্য বিভাগ।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকটি অসাধু চক্র চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে রফতানি করেছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ ছাড়া পুশ বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এনএমএম/এএল