প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
চাঁদপুরে জাহাজে সাত খুনের রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে মোংলায় দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন নৌ শ্রমিকরা। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে সারাদেশে নৌপথে লাইটার জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন নদী বন্দরে নোঙ্গর করা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস ও পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে মোংলাসহ বিভিন্ন জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ কর্মবিরতি আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে হত্যার ঘটনার পর চাঁদপুর নৌ রুটে সব ধরনের নৌযান নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ শ্রমিকরা। নৌযান শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে বলেও জানায় নৌযান নেতৃবৃন্দরা। তবে যাত্রীবাহী নৌযান এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান তারা। কর্মবিরতি আহবানকারীরা রয়েছে অনড় অবস্থায়।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো. মামুন হাওলাদার বাদশা বলেন, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সব নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। এজন্য গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি পালনের জন্য বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সব বেসিক ইউনিয়ন ও শাখাগুলোর নেতারা শ্রমিকদের আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজের সাতজনকে খুনের ঘটনার বিচার ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা থেকে এ কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকেরা। সাত খুনের ঘটনার পরপরই প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সাত খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচার, নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তোলে নৌযান শ্রমিকরা।