
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ১০:২০ পিএম
শ্রমিক ভিসায় ২০১৮ সালে রায়হান দুবাই যান। ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর এক নারী রায়হানের মামাকে ফোন করে বলেন, রায়হান দেশে ফিরেছে। ২ দিন আগে দেশে ফিরে সে ঢাকার বাড্ডায় এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছে। ওই বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয়, রায়হান কুমিল্লায় আরেক বন্ধুর বাড়িতে গেছে। সেখানে গিয়েও রায়হানের খোঁজ না পাওয়ায় বিষয়টি তখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানানো হয়। এর পর আর রায়হানের কোনো হদিস মিলছিল না।
২ মাস আগে কয়েকজন ব্যক্তি র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে বাড়ি থেকে রায়হানের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে যায়। এরপর ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। রায়হানকে জীবিত উদ্ধার করে আইন অনুযায়ী পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান তার বাবা।
রায়হানের বাবা মনে করছেন, বিদেশে থাকা অবস্থাতেই রায়হানকে জঙ্গি দলে ভেড়ানো হয়েছে।
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা রায়হানের কথা জানান তার বাবা আবুল কালাম। গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে রায়হানকে শনাক্ত করা হয়। ভিডিওতে রান্নার ২টি দৃশ্যে তাকে দেখা যায়। আবুল কালাম জানান, রায়হানকে শনাক্ত করার পর শুক্রবার তারা র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আবু জাফর গত ৩ বছর ধরে মালদ্বীপে থাকেন বলে জানত তার পরিবার। এর আগে তিনি থাকতেন সৌদি আরবে। ২০১৯ সালে দেশে ফিরে মালদ্বীপের কথা বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি।
জাফরের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এরপর থেকে আবু জাফরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হতো তাদের। প্রতিবারই মালদ্বীপে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু গত ২ মাস আগে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসনে আবু জাফরের বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন র্যাব সদস্য তার সম্পর্কে তথ্য নিয়ে যায়।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার আবু জাফরের দুলাভাই মো. শাহজাহান পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের একটি ভিডিওতে আবু জাফরকে শনাক্ত করেন। ওই ভিডিওতে একটি রান্নার দৃশ্যে গলায় গামছা পরে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে।
আরিয়ানএস/