• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

জমজমের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ১০:০৪ পিএম

জমজমের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে পবিত্র জমজম কূপের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।

জমজমের পানি বিক্রি আপাতত বন্ধ - The Business Post
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের যেসব দোকানে এই জমজম কূপের পানি বিক্রি হয় সেসব দোকানী, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ভোক্তার মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, খোলা বাজারে এটা কিভাবে এলো, কিসের উপর ভিত্তি করে আপনারা এই পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। কোথায় থেকে, কাদের মাধ্যমে এই পানি আপনাদের হাতে আসছে। এই সব বিষয় নিয়ে এবং বাণিজ্যিকভাবে এই পবিত্র পানি বিক্রির বিষয় নিয়ে আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বসবো। আর আপনারাও এই জমজমের পানির বিক্রির উৎস সম্পর্কে মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন। তার আগ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে বাইতুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে জমজম কূপের পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে।

জমজমের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

তিনি আরও বলেন, নির্দেশনা অমান্য করে যদি এরপরও কোনো ব্যবসায়ী এই পবিত্র পানি বিক্রি করেন তাহলে সেই দোকান আমরা সীলগালা করে দিবো। আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করবে। এ ছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও যারা জমজম কূপের পানি বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এদিকে গতকাল বায়তুল মোকাররম মার্কেটে জমজমের পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ছদ্মবেশে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করি। পরে দাম জিজ্ঞেস করলে ব্যবসায়ীরা জানান- ছোট বোতল ৩০০ আর ৫ লিটারের পানি ২৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু পানির উৎস কোথায়, কে দিল তারা তা জানায়নি। এর ফলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।

সেমিনারে অংশ নেয়া বায়তুল মোকাররম মার্কেটের এক ব্যবসায়ী সুলতান কবির বলেন, হজ থেকে ফেরা মোয়াল্লেমরা জমজমের পানি মার্কেটে দেয়। এরপর পাইকারি মার্কেট থেকে আমরা কিনে এনে বিক্রি করি। তবে এখন যেহেতু নতুন ঘোষণা এসেছে ফলে সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত আমরা জমজমের পানি বিক্রি করবো না।

সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারাসহ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সাজেদ/এএল

আর্কাইভ