প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ১২:৩১ এএম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয় সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যে কারণে এই আইন করা হয়েছে, তা কেউ বলে না। শুধু বলা হয়—বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এ আইন করা হয়েছে। যা মোটেও সঠিক নয়।
আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয়, এটা স্বাভাবিক—এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে অপরাধ করা যায়, সে ব্যাপারেও চেষ্টা হবে। কারণ অপরাধীরা সবসময় একধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আইনপ্রণেতাদের এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
উপাত্ত (ডেটা) সুরক্ষা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণয়ন করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হতো না। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আইন তৈরি করা হয়। অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করেই উপাত্ত সুরক্ষা আইন করা হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।
‘এখন আমরা গ্লোবাল সিটিজেন হয়েছি। আবার বর্তমানের অনেক অপরাধ ট্রান্স বর্ডার (আন্তঃসীমান্ত) হয়েছে। এসব অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এই আইন প্রণয়ন করেছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ডিএমপির এডিসি নাজমুল ইসলাম, আইসিটি বিষয়ক সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারের ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপনস টিমের (সিআইআরটি) প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ।