নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেল (৩২)। কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলা হরিনাথ পুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। শুক্রাবাদে পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন রুবেল।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৯টায় রাজধানীর শুক্রাবাদের ভাড়া বাসা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, সাব কন্ট্রাক্টে নেয়া সিটি করপোরেশনের ময়লার লাইন পরিচালনার দায়িত্ব কেড়ে (ঠিকাদারি) নেয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
যদিও এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
নিহত রুবেলের স্ত্রী লাবনী আক্তার বলেন, আমার স্বামী ১৭ নং ওয়ার্ডে সাব কন্ট্রাক্টে সিটি করপোরেশনের ময়লার লাইন পরিচালনা করতেন। গত ৯ জুন আমার স্বামীর কাছ থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা জোরপূর্বক লাইনটির দায়িত্ব নিয়ে নেয়। যদিও আমাদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল। আমার স্বামী তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় লাইনটি নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সকালে আমি রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এক ফাঁকে রুমে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন রুবেল। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাত্র ১০ মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। এখনো বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়নি।
নিহতের ছোট ভাই ওসমান গনি জানান, তার বড় ভাই রুবেল কলাবাগান থানার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বর্তমানে এলাকায় ময়লার ঠিকাদারি করতেন। সম্প্রতি তার স্থলে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ময়লা ফেলার টেন্ডার পেয়ে যান। এতে রুবেল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সে কারণেই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আল-মামুন বলেন, রুবেল আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
টিআর
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন