• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

প্রবাসীদের হয়রানি না করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ১১:২৯ পিএম

প্রবাসীদের হয়রানি না করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীদের হয়রানি থেকে রক্ষায় আইনগত সহায়তা দিতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকার সময় তাদের বাড়ি ঘর দখল হয়ে যায়। দেশে ফিরে এসব সম্পদের দখল নিতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়া হয়। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, এ ধরনের ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তা দিতে।’

প্রবাসীদের দাবি ২০ টাকা নয়, এয়ারপোর্টের হয়রানি বন্ধ করা

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অবৈধভাবে বিদেশে গিয়ে অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে। যাতে কেউ অবৈধভোবে বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার না হন।’

প্রবাসীদের অনেক জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে রয়েছে, বিশেষ করে মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সিলেটে এ রকম অনাবাদী জমির পরিমাণ বেশি। বেদখল হওয়ার আশঙ্কায় এসব জমি বর্গা দেয়া হয় না। আমি জেলা প্রশাসকদের বলেছি সরকার যদি এখানে প্রকল্প করে তাহলে প্রবাসীরা জমি দেবে।’

‘ছোট ছোট অনেক উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে, যা ওই অঞ্চলে বিশেষ প্রভাব ফেলছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের বিষয়গুলো জানাতে বলেছি। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি প্রচার করা যায়। এতে দেশের ইজ্জত বাড়ে,’ বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন শ্রম বাজার খুঁজছি। রোমানিয়া এবং লিবিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। রোমানিয়া ৩০ হাজার শ্রমিক নিতে চেয়েছে।’
প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা হোক
তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা এবং বান্দরবানের কিছু এলাকায় ভারতের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। আমরা বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।’

ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে আমরা আর একটিও রোহিঙ্গা নেব না। কিন্তু তাদের ওখানেও সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা আসলে কি হবে আমরাও বলতে পারছি না। মিয়ানমার বলেছে তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যাবে। কিন্তু ৬০ বছর হয়ে গেল একজনকেও ফেরত নেয়নি।’

আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি যাতে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় এ ছাড়া পাসপোর্টে হয়রানি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
 

সাজেদ/

আর্কাইভ