• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

বেতন বাড়বে সরকারি কৌঁসুলিদের: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম

বেতন বাড়বে সরকারি কৌঁসুলিদের: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি কৌঁসুলিদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ ও বেতন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য ২৬৭ কোটি টাকা অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সম্মেলন শেষে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কৌঁসুলিদের বেতন বাড়ানোর জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে ২৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। জেলার আয়তনভেদে এখন নতুন বেতন কাঠামো ঠিক করা হচ্ছে। বড় জেলাগুলোতে এ ধরনের কৌঁসুলিরা বেতন পাবেন ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি জেলাগুলোতে কৌঁসুলিরা বেতন পাবেন ৪৫ হাজার টাকা এবং ছোট জেলাগুলোতে বেতন পাবেন ৪০ হাজার টাকা।

বড় জেলাগুলোতে  কৌঁসুলিরা বেতন পাবেন ৫০ হাজার টাকা। 

মাঝারি জেলাগুলোতে কৌঁসুলিরা বেতন পাবেন ৪৫ হাজার টাকা।

 ছোট জেলাগুলোতে বেতন পাবেন ৪০ হাজার টাকা।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

এ ছাড়া ২০০৭ সালের আগে বিচারবিভাগ পৃথক হওয়ার আগে জেলা প্রশাসকদের মতামত নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) নিয়োগ দেয়া হতো বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন রাজনৈতিকভাবে পিপি নিয়োগ দেয়া হয়। তবে স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ পর রাজনৈতিকভাবে পিপি নিয়োগ দেয়া হতো।

জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে স্থায়ী সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন ৩০ ভাগ কৌঁসুলি নিয়োগ দেয়া হবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। আর বাকি ৭০ ভাগ রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এ কৌঁসুলিদের বেতন এখন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে।

এ ব্যবস্থা আগামী নির্বাচনের পরে প্রবর্তনের চিন্তা থাকলেও এখন থেকেই এর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের অবগত করা হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক। তিনি আরও জানান, স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন করা হবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ডিসিদের বেশি করণীয় নেই। বেশি কাজ করে থাকে পুলিশ। এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যাতে মামলাগুলো সেলে যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। একই সঙ্গে এ ধরনের মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেফতার না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এ ছাড়া আরেকটি কমিটি আইনটি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রয়োজন মনে করলে এটি সংশোধন করা হবে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, মামলা জট কমাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য আদালতের বাইরে নিষ্পত্তিযোগ্য মামলাগুলো আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করার জন্য বিচারক বিচারপ্রার্থিকে অনুরোধ করবেন। এ পদ্ধতির প্রয়োগে সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

সাজেদ/এএল

আর্কাইভ