• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী ‘

আল্লাহ নিজ হাতে গজব না দিলে, কোনো চান্স নেই’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম

আল্লাহ নিজ হাতে গজব না দিলে, কোনো চান্স নেই’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। হওয়ার কোনো চান্স নেই, যদি আল্লাহ নিজে হাতে গজব না ফেলেন। চলতি বছর এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি খাদ্যের মজুত রয়েছে।’
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

মাননীয়-খাদ্যমন্ত্রী-জনাব-সাধন-চন্দ্র-মজুমদার-এমপি-এবং-মাননীয়-খাদ্য-সচিব-ড-মোছাম্মৎ-নাজমানারা-খানুম-পটুয়াখালী-জেলার-সদর-খাদ্য-গুদাম-ও  ...

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমনটা ভালো হয়েছে। আমন যেখানে প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৬ মণ হতো, সেখানে এবার ২০ থেকে ২৫ মণ হয়েছে। তা ছাড়া সামনে আবার বোরোর আবাদ। বোরোর ফলনও ভালো হবে। অতএব, শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে গ্লোবালি যে মার্কেট বৃদ্ধি আছে, সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকেও চলতে হবে।

চালের এত মজুত, তবুও দাম কমছে না কেন–জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম যাদের জন্য অসহনীয় তাদের জন্য ওএমএস, খাদ্যবান্ধব ভিজিডি, ভিজিএফ আছে। অতএব, শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সবাই ভালো আছে। তবে খাদ্যের অপচয় যেন রোধ হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। কারণ, অনেক বিয়েবাড়িতে ১৫ থেকে ২০ পারসেন্ট খাবার নষ্ট হয়। এগুলো রোধ করতে হবে।

রাউজানে খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করলেন ইউএনও | জয়নিউজবিডি

চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করে দিয়েছিলেন। সে বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম বাড়লে আপনারা তা নিয়ে কথা বলে যান। কমলে আর বলেন না। খটকা লাগে এখানে। একটি পত্রিকা প্রথম পাতায় লিখেছে, চালের দামে অস্থিতিশীল। আবার ছয় নম্বর পাতায় দেখলাম লিখেছে, কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। তাহলে আমরা যাব কোন দিকে?’
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য দরকার। কৃষকদের বাঁচতে হবে। আবার ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় থাকতে হবে। আমরা ২ হাজার ১৯টি ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস চালু করেছি, যা সারা বছর চলছে। আগে তিন মাস চলত।’


সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘তারপর ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব চাল দিচ্ছি। ২৪ টাকা কেজিতে আটা দিচ্ছি। আমনের আগে খরা হবে বলে আমরা মনে করেছিলাম, কিন্তু এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। সংগ্রহ ভালো হয়েছে। আমাদের এখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুত। প্রায় ১৯ লাখ ২৫ হাজার টন চাল সরকারি মজুতে, যা আগে কোনোদিন ছিল না।’
 

সাজেদ/

আর্কাইভ