প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন। বিকেল ৩টায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
এবার মেলায় থাকছে ৬০৮টি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ৮৯২টি স্টল ও ৩৮টি প্যাভিলিয়ন। বই মেলার অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে বাংলা একাডেমি। লটারির ড্র’র মাধ্যমে প্রকাশনী সংস্থাসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য বরাদ্দ করা হবে স্টল-প্যাভিলিয়ন। মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এবারও একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪টি প্যাভিলিয়ন থাকবে বাংলা একাডেমির। এর মধ্যে ৩টি প্যাভিলিয়ন সাধারণ বইয়ের জন্য এবং ১টি প্যাভিলিয়ন শিশু-কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য। আর একটি স্টল থাকবে সাহিত্য মাসিক পত্রিকা উত্তরাধিকারের জন্য বাংলা একাডেমির। শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে থাকছে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ।
একাডেমিতে বর্ধমান ভবনের পশ্চিম বেদিতে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে। সাংবাদিকদের তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে বইমেলায় মিডিয়া সেন্টার এবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে।
বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪টি প্রবেশ পথ ও ৪টি বের হওয়ার পথ থাকবে। বরাবরের মতো এবারও বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
বইমেলার প্রবেশ পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা থাকছে। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ। নিরাপত্তার জন্য কয়েক শ’ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৩ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বইয়ের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে।
শিশুতোষ গ্রন্থের জন্য ১টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছর মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমির ‘জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২’ প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করবেন। একইসঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধুর রচনা সমগ্র প্রথম খণ্ড’-এর মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা। শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা এবং শনিবার ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিরতি। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
কিউ/এএল