প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ০৪:০৩ পিএম
পাচারকারীদের নিত্যনতুন কৌশল দেখে হতবাক বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। গাড়ির চাকা, ট্রেনের সিট, জুতা এমনকি পেঁয়াজের মধ্যেও অদ্ভূত কৌশলে চলছে ইয়াবা পাচার। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কৌশল প্রতিরোধ করা অনেক সময় তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
সম্প্রতি গাড়ির চাকার ভেতরে সুকৌশলে পাচার হচ্ছিল ইয়াবা এমন তথ্য ছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে। ওয়ার্কশপে নিয়ে সেই চাকার টায়ার খোলার পর পাওয়া গেল ইয়াবা। জুতার ভেতর ইয়াবা চোরাচালান হচ্ছে, এই চালানটি ধরা পড়ার আগে জানত না ডিএনসি। অদ্ভূত এই কৌশলে এর আগেও ইয়াবার চালান এসেছে কক্সবাজার থেকে।
শুধু তাই নয়, ট্রেনের সিটে বিশেষ চেম্বার বানিয়ে ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসছে কারবারিরা। চেম্বারে ব্যবহার করা হয়েছে চুম্বক, যেন সিটে থাকা লোহার সঙ্গে আটকে থাকে। আর বেছে নেয়া হয়েছে এমন রং যা দেখতে হুবহু ট্রেনের সিটের মতো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক পাচার প্রতিরোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও পাচারকারীরা থেমে নেই। এই যেমন একজন বাজার থেকে চাল, ডাল, তেল, লবণ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্দেহ হলে তার ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। সম্প্রতি পেঁয়াজের মধ্যে বিশেষ কৌশলে ইয়াবা চোরাচালান ধরা পড়ে ডিএনসির অভিযানে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার জন্য গাড়িতে ওঠার সময় মাদক কারবারিরা চুম্বকের সাহায্যে গাড়ির কোথাও লুকিয়ে রাখে। বাসের সিটের কভারের মধ্যেও লুকিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে ইয়াবা। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়ানোর জন্য এ ধরনের বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে, কতজন যাত্রীকে আমরা চ্যালেঞ্জ করব? সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া তো এটা সম্ভব হয় না। আর ধরা পড়ার পরও তারা প্রকৃত সরবরাহকারীর তথ্য দিতে পারে না। এতে এ ধরনের পাচার ঠেকানো খুব চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
পাচারের এসব কৌশল উদ্ঘাটন করে কারবারিদের আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
এনএমএম/এএল