প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম
বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলছে, শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার বদলে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষাক্রম-২০২৩ সংস্কার, বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছে জাতির বিবেক। কিন্তু শিক্ষাক্রম প্রণয়নে জাতির বিবেকরা যখন চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তখন তা জাতির জন্য লজ্জার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা নষ্ট করতে ও আগামীর প্রজন্মকে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিতে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশীয় বোধ-বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্ত পূর্বক শাস্তি না দিলে দেশব্যাপী সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর বলেন, শিক্ষা সিলেবাসকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের নীলনকশা আঁকা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডারউইনের মতবাদের মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষদের বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। বিতর্কিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে সচেতন শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিতর্কিত শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশব্যাপী থানা পর্যায়ে মানববন্ধন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ। আগামী ২৯ জানুয়ারি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে চিঠি প্রেরণ।