• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ভোক্তা অধিকারের নতুন সফটওয়্যারে অভিযোগ জানাবেন যেভাবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১০:৩১ পিএম

ভোক্তা অধিকারের নতুন সফটওয়্যারে অভিযোগ জানাবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভোক্তাদের অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে কনজ্যুমার কমপ্লেইন ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) শীর্ষক সফটওয়্যার ও ওয়েব পোর্টাল চালু করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ওয়েব পোর্টাল ও সফটওয়ারের উদ্বোধন করা হয়। এসময় কর্মকর্তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। ঢাকা বিভাগে এটি পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছে। যা পরবর্তীতে পুরোদমে চালু হবে।

কীভাবে এই নতুন সফটওয়্যার ও ওয়েব পোর্টল ব্যবহার করে ভোক্তারা অভিযোগ জানাবেন অনুষ্ঠানে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। 

প্রথমে একজন গ্রাহক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dncrp.com) ঢুকলেই অভিযোগ জানানোর স্থান দেখতে পাবেন। এছাড়া ওয়েব সাইটে কিউআর বারও রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গুগল সার্চ করেও অভিযোগ জানানোর নির্দিষ্ট লিংক পাওয়া যাবে।

সাইটে ঢুকলেই প্রথমে আসবে পূর্ববর্তী অভিযোগ যাচাইয়ের অপশন, পরে দেখা যাবে ফোন নম্বর, ওটিপি ও অভিযোগকারীর তথ্য দেওয়ার স্থান। সেখানে অভিযোগ ফরমে অভিযোগকারীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম ও অভিযোগের ধরণ পূরণের অপশন থাকবে।

এরপরেই আসবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম, অভিযোগের বর্ণনা, বিভাগ, জেলা ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা। এগুলো পূরণ করার পর অভিযোগের প্রমাণপত্র সংযুক্তির অপশন পাওয়া যাবে। সেটিতে আপলোড বাটনে ক্লিক করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিযোগটি চলে যাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে।

অভিযোগটি দাখিলের পরেই স্ক্রিনে একটি ট্র‍্যাকিং নম্বর দেখতে পাবেন সেই ভোক্তা বা অভিযোগকারী। সেখানে উল্লেখ থাকবে—‘আপনার অভিযোগটি সফলভাবে গ্রহণ করা হয়েছ’। সেইসঙ্গে একই বার্তা ও ট্র‍্যাকিং নম্বরটি মোবাইল এসএমএসের মধ্যমেও পাবেন সেই ভোক্তা। অভিযোগ করার পর সেটি ডাউন লোড করা, পরবর্তীতে সেই নম্বর ব্যবহার করে অভিযোগটি কোন পর্যায়ে আছে সেগুলোও দেখতে পারবেন ভোক্তারা।

ভোক্তাদের অভিযোগগুলো ভোক্তা অধিকারের সার্ভারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। অভিযোগগুলো যাচাইয়ের জন্য থাকবে প্রশাসনিক প্যানেল। অভিযোগগুলো দেখতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। তিনি সেই অভিযোগ অনুসন্ধান করবেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে তিনি অভিযোগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুনানি পরিচালনা ও অভিযান পরিচালনা করবেন। সবশেষে এই বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে রিপোর্টিং করতে হবে।

এদিকে এই নতুন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভোক্তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, বর্তমানে অধিদপ্তরে ৩ হাজার ৭৪৮টি অভিযোগ অমীমাংসিত রয়েছে, যা বিদ্যমান পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যে কারণে বর্তমানে চালু হওয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোক্তাদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে ভোক্তাদের ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়া ও এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে অভিযোগ করার অনুরোধ করছি।

সফটওয়্যারটির পরিচালনাকারীরা জানিয়েছেন, ভোক্তার ওয়েবসাইট থেকে পোর্টালটি অ্যাক্সেস করা যাবে, পাশাপাশি কিউআর কোড ব্যবহার করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রথমে ঢাকা বিভাগে এটি পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে চালু হবে। এরপর আগামী তিন মাসের মধ্যে পুরোদমে চালু হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ও জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আর্কাইভ