প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম
গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ী মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।এ সময় এলাকাবাসী ও বিক্ষুব্ধরা ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন-রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল বাকির ছেলে মো. রবিউল (৪০)। গাজীপুর বাসান থানাধীন পেয়ারা বাগান এলাকার মোবারকের বাসায় ভাড়া থেকে সুতার ব্যবসা করতেন তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার রাতে অনলাইন জুয়ার ব্যবসা করে এমন অভিযোগে ৪ জনকে ধরে নিয়ে যান বাসন থানার এসআই নুরুল ও মাহবুব। এরপরে ৩ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ রবিউলের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এই টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে। একপর্যায়ে পরিবার ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হলেও ছেড়ে দেয়নি। গতকাল রাতে পুলিশ বাসায় এসে ছেড়ে দিবেন বলে তার স্ত্রীর কাছে সাদা কাগজে সিগনেচার নেয়। এরপর ২০ মিনিট পর পুলিশ ফোন দিয়ে জানায় রবিউলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং সে ঢাকা মেডিক্যোলে ভর্তি রয়েছে। এরপর পরিবার হাসপাতালে গেলে জানতে পারে সে মারা গেছে।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে সকালে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগড়া এলাকা অবরোধ করে ভাঙচুর করে। পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। পুলিশের ৩ টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এতে দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সবাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে বলে জানান নিহতের বাসার ভাড়াটিয়ারা। তবে এলাকাবাসী এখনো মহাসড়কের আশপাশে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মালেক খসরুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, একজন ব্যবসায়ী মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। আমরা মূল ঘটনা খতিয়ে দেখবো। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তারা অনেকেই না বুঝে রাস্তায় এসেছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেছি।
পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’