• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

অনলাইনে হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির টার্গেট

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২১, ০৫:১৪ পিএম

অনলাইনে হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির টার্গেট

তরিকুল ইসলাম সুমন

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা এবং পশু বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সমস্যার সমাধানে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য মোবাইল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত বছর থেকে প্রক্রিয়াকে সাধারণ মানুষের এবং খামারিদের কাছে পরিচিত করা হয়েছে। গতবছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বছর প্ল্যাটফর্মকে কজে লাগাতে চায় সরকার। জন্য সারাদেশে কাজ করছে প্রাণীসম্পদ অধিদফতরের জেলা উপজেলা কর্মকর্তারা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা সিটি নিউজকে জানান, আমরা সারা দেশে খমারিদের যুক্ত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তাদের পশুর ছবিতুলে প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করছি। যারা মোবাইল ব্যবহার করতে পারছেন না তাদেরও বিষয়ে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর আমরা অনলাইনে ভালো সারা পেয়েছি। আশা করছি বছর আরও বেশি সারা পাবো। চলতি বছর কোরবানীর মৌসুমে আমাদের টার্গেট হলো ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার গবাদি পশু বিক্রি করা। সংখ্যা হিসাবে প্রায় লাখপশু। বিষয়ে আমরা ক্ষুদ্র খামারিদের সচেতন করার জন্য কাজ করছি। বিষয়ে কারও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষনিক সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, করোনার সময়ে খামারি ক্ষুদ্র চাষীদের গবাদিপশু বিক্রির জন্য আমরা মোবাইল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেশের লাখ ২০ হাজার খামারি ক্ষুদ্র চাষীদের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য আমাদের রিজিওনালমেট্রোপলিটন থানা অফিস অফিসের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। দিচ্ছেন চাষীদের নানান তথ্য উপাত্য। ছাড়াও আমাদের কাছে কেউ আসলে আমরা ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের ব্যবস্থাও রাখছি। পাশাপাশি অনলাইনে বিক্রি করা পশুর যাতে ভালো দাম এবং টাকা যাতে দ্রুত পায় তারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মোবাইল এবং অনলাইন দুটো সেবাই চালু রাখা হচ্ছে। কেউ পশুকিনতে চাইলে সাহায়তা দেয়া হবে, আবার বিক্রি করতে চাইলেও সহায়তা করা হবে। যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরং করা হবে।

তিনি আরও জানান, গতবছর অনলাইনে সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৩ হাজার ৮৪৭টি গবাদি পশু বিক্রি করা হয়েছিল। এরমধ্যে গরু- ৬৩ হাজার ৯৮২টি, মহিষ- ৯০২টি, ছাগল ১৭ হাজার ৪৯৪টি, ভেড়া হাজার ৪৯৬টি। যার মূল্য ছিল ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৮২৯ টাকা।

প্রাণীসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায় দেশে বছর কোরবানির যোগ্য প্রাণীর সংখ্যা কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজারটি। যা গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার বেশি। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল- ভেড়া ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার, উট-দুম্বা- গয়াল রয়েছে হাজার ৭৬৫টি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা সিটি নিউজকে বলেন, করোনার কারণে আমরা সবাই করোনার ঝুঁকিতে রয়েছি। স্বাস্থ্যবিধির কারণেই অনেক খামারি ক্রেতারা হাটে আসতে পারবেন না। দেশের প্রায় হাজার অস্থায়ী হাটে পশুবিক্রি হবে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে অনলাইনে পশু কেনার আহ্বান থাকবে। আশা করি বছর গতবারের চেয়ে বেশি সংখ্যক পশু বিক্র করা সম্ভব হবে।

তরিকুল/নির্জন

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ