• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

কুয়াশায় ঢেকে আছে সারাদেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম

কুয়াশায় ঢেকে আছে সারাদেশ

দেশজুড়ে ডেস্ক

সারাদেশ আজ কুয়াশাচ্ছন্ন। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। কুয়াশা হিমেল হাওয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে সারাদেশে। আজ পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ২৭ জেলায় অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা ঝড়ছে। অপরদিকে ঘনকুয়াশায় ছেয়ে আছে রাজধানীর আকাশ। এমন অবস্থায় টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লীর আল্লাহু আল্লাহু যিকির অব্যাহত রয়েছে। আজ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন।

রাজধানীতে বেলা বাড়লেও দেখা মেলেনি সূর্যের। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দেখা গেছে, ফার্মগেট, বাংলামটর, শাহবাগ ও সাইন্সল্যাব এলাকায় বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে।

ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সকাল ছয়টায় ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে রাজধানী ও দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টির আশংকা নেই। কোথাও কোথাও আকাশ সামান্য মেঘলা হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর আকাশে মেঘ আবার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মেঘ-বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর আগামী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা কমে সারা দেশে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই শৈত্যপ্রবাহ চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার এই জেলাগুলোর কয়েকটি এলাকা থেকে শৈত্যপ্রবাহ সরে যেতে পারে। সেখানে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

অপরদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একই কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথেও সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। এর আগে দুই নৌপথে দুটি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতভর নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা থাকলেও আজ ভোর রাতের দিকে ভারী কুয়াশা পড়তে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সকাল ৬টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া কেরামত আলী নামের একটি রো রো (বড়) ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। এ ছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে ছোটবড় মিলে ৮টি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে একটি ফেরি নোঙর করে আছে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটের মহাসড়কগুলোতে নদী পাড়ি দিতে অপেক্ষমাণ রয়েছে কয়েক শ গাড়ি।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ গনমাধ্যমকে বলেন, ভারী কুয়াশার কারণে দুই নৌপথে সকাল ৬টার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে যানবাহনের খুব চাপ না থাকায় দ্রুত ঘাট যানবাহন শূন্য হয়ে পড়বে বলে তিনি মনে করেন।

 

 

কিউ/এনএমএম

আর্কাইভ