প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম
লাখো মুসল্লীর আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে মুখিরত টঙ্গীর তুরাগ তীর। শীত কোনো বাধার কারন হতে পারেনি মুসল্লীদের কাছে। করোনাকালীন দু বছর পরে এবারের বিশ্ব ইজতেমা এক মহা যিকিরের তরঙ্গে প্রকম্পিত এখন। শীত উপেক্ষা করে গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ফজরের নামাযের পরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় তিনজন এবং আজ আরও ৩ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হলো।
মৃতদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন- মুসল্লি আক্কাস আলী (৫০)। তার বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে ময়দানের ৪২১নং হালকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আক্কাস আলী। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া একই দিন আরও দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়। আজ শনিবার আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে ইবাদত, বন্দেগি, জিকির-আসকার চলে। এরপর ইমান ও আমল নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বয়ান শুরু হয়। উর্দুতে বয়ান শুরু করেন পাকিস্তানি মাওলানা খুরশিদুল হক রায়বেন। আর বাংলায় তা তরজমা করে শোনান মাওলানা যোবায়ের আহমদ।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। নামাজে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণ ছিল। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ নদীর তীর। শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন সবাই। মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কাল পেরিয়ে আবারো সমবেত হতে পারায় শুকরিয়া আদায় করেন তারা।
ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেয়া বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
কিউ/এনএমএম