• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্যালুটের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০২:৩৬ এএম

স্যালুটের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্যালুট দেওয়ার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কম্বল বিতরণ করেছে নিলুফা ইসমিন রুপা নামে এক নারী। তার পরিচয় হিসেবে ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ উল্লেখ করা হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এমন অনুষ্ঠান এবং স্যালুট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরে একটি বিদ্যালয়ে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানির পর থেকে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিদ্যালয়টির গালর্স গাইডের কয়েকজন ছাত্রী জানান, তাদের জানানো হয়, বুধবার বিকেলে একজন “গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি” কম্বল দিতে আসবেন। সেটা নেওয়ার জন্য দ্রুত বিদ্যালয়ে আসতে হবে। ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ওই দলে ছিল। সেখানে নিলুফা ইসমিন রুপা নামে ওই নারীকে স্যালুট দিতে বলা হয়। এরপর প্রত্যেককে একটি করে কম্বল দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি স্কুল ছুটির পরে গালর্স গাইডের উদ্যোগে হয়েছে। এ বিষয়ে জানতাম না। পরে ফেসবুক লাইভে দেখেছি। কেউ কম্বল দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

মেহেরপুর স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন বলেন, গার্ড আব অনার বা স্যালুট যেকাউকে দেওয়া যায় না। এর জন্য আইনগত বিধিবিধান আছে। এটা রাষ্ট্রের অবমাননা। যারা এটা করেছে তারা গালর্স গাইডের কেউ নয়। তাদের গায়ে স্কুলের পোশাক ছিল।

এ বিষয়ে নিলুফা ইয়াসমিন রুপার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “গার্ড অব অনার নয়, তারা আমাকে প্যারেড করতে করতে রিসিভ করেছে। প্যারেডে সালাম দিয়েছে। আমি ভালো কাজ করেছি, তাতে সমস্যা কী?”

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বেসরকারি কাউকে “গার্ড অব অনার” বা স্যালুট দেওয়ার নিয়ম নেই। এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর্কাইভ