প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৮:৫৬ পিএম
কখনো মন্ত্রীর ছেলে, কখনো বা এমপির ভাই, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে বাদ যায়নি কোনও পদ। ফেসবুকে চার লাখের অধিক ফলোয়ার নিয়ে যা পরিচয় দেন তাতেই বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন মেয়েদের কাছে। এমন অসংখ্য পরিচয়ের আড়ালে মূলত তিনি ফাপা গোলক। অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় বাড়ি থেকে ১২ বছর বয়সেই বের করে দিয়েছিলেন মা-বাবা। নিজেকে শোধরানোর পরিবর্তে হয়ে ওঠেন প্রতারক। পুলিশের দাবী, তিনি বহুরূপী প্রতারক।
অনেকের কাছে বিল্লাল ফারদিন নামে পরিচিতি থাকলেও প্রকৃত নাম রাজুউল্ল্যা রাজু।অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন নিজেকে। কোনোটির এমডি, কোনোটির আবার প্রধান নির্বাহী। অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও। এত কিছু থাকলেও তার বড় পরিচয় তিনি নাকি গাজীপুরের এক সাবেক মন্ত্রীর ছেলে। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। সংস্থাটির দাবি এ সবই মিথ্যা। রাজু আপাদমস্তক একজন প্রতারক।
কিছুদিন আগে রাজু এক তরুণীকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। চার লাখের মতো অনুসারী ও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সভাপতি-সেক্রেটারি পদে রয়েছেন দেখে তরুণী রাজুর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করেন। ধীরে ধীরে ওই তরুণীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। একপর্যায়ে তরুণীকে জাপানে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেন রাজু। জাইকার প্রজেক্টে চাকরি দেয়ার ফাঁদ পেতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের হিসাব নম্বরে ১৯ লাখ টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছেন।
তবে জাপানে পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ার পর তরুণী বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত ওই তরুণী কলাবাগান থানায় মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ তথ্য পায়, প্রতারণার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন রাজু। অন্তত চল্লিশজন তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক করে পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ফারদিন।
এনএমএম/