প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম
ফজরের নামাজের পর শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের কার্যক্রম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখ লাখ মুসল্লি জড়ো হয়েছেন টঙ্গীর তুরাগতীরে। এদিকে আজ দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় প্রতি ঘণ্টায় ১৮ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। এ জন্য ইজতেমা ময়দানে ১৬টি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এছাড়া অগ্নি নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬১ জন দায়িত্ব পালন করবেন। গাজীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলমগীর মিয়া এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ বছর ইজতেমায় ১১শ ফিট গভীর দুটি নতুন নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে ইজতেমা ময়দানে মোট ১৬টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৮ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হবে। এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, পুরো ইজতেমা ময়দান ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারলেস ফ্রিকোয়েন্সির আওতায় আনা হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবিলায় প্রতিটি খিত্তায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হুক, ফায়ার বিটারসহ দুজন করে ফায়ার ফাইটার দেওয়া হয়েছে। তুরাগ নদীসহ ময়দানের চারপাশে ১৪টি পোর্টেবল পাম্প প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া ময়দানের বিভিন্ন স্থানে চারটি পানিবাহী গাড়ি, রোগী পরিবহনে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স, সহজে বহনযোগ্য স্পিড বোট, ডুবুরি দল, বেশ কয়েকটি টু হইলার, ১৩টি জেনারেটর এবং লাইটিং ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরো ময়দানে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬১ জন দায়িত্ব পালন করবেন। ময়দানে ফায়ার কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টঙ্গী, উত্তরা ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনগুলো স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে।
এদিকে ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাব কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছে। সিসি ক্যামেরা মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা কন্ট্রেল রুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা অবস্থান করছেন। এ ছাড়া বাইনোকুলার, মেটাল ডিটেক্টর, নৌ-টহল, চেকপোস্ট। দুই পর্বে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।