প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০১:০১ এএম
সাতক্ষীরা: দুই বস্তা চিনির সঙ্গে মাত্র ১০০ গ্রাম সরিষা ফুলের মধু ও অন্যান্য কেমিক্যাল মিশিয়ে বানানো হয় ৪০০ কেজি ভেজাল মধু। পরে এসব মধু কুরিয়ার যোগে খাঁটি মধুর নামে পাঠানো হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
আর সাধারণ মানুষ নিজেদের অজান্তেই খাঁটি মধু হিসেবে কেনেন তা। এভাবেই বছরের পর বছর মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন কামাল হোসেন।
তার এ প্রতারণার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সিংগা গ্রামে অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ সময় প্রতারক কামাল হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে সঙ্গে জব্দকৃত ২০ মণেরও বেশি ভেজাল মধু কেরোসিন ঢেলে জ্বাীরয়ে বিনষ্ট করা হয়।
প্রতারক কামাল হোসেন জেলার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কলারোয়ার সিংগা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ভেজাল মধু বানিয়ে বিক্রি করে আসছিলেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে চিনি ও মধুর সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ভেজাল মধু বানাতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সিংগা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় ২০ মণেরও বেশি ভেজাল মধু জব্দ করা হয় এবং আটক কামালকে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাসের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত ২০১৫ সালের খাদ্য আইনের ২৫ ধারায় তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় ওই বাড়ি থেকে কৃত্রিম মধু তৈরির সরঞ্জামসহ জব্দকৃত ভেজাল মধু কেরোসিন ঢেলে জালিয়ে বিনষ্ট করা হয়।
মোখলেছুর রহমান আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন স্বীকার করেছেন যে, অল্প পরিমাণ সরিষার মধুতে বিশাল পরিমাণ চিনি ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে খুবই লাভজনক এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এসব ভেজাল মধু তিনি সাতক্ষীরা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঠাতেন।