প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৩:২০ এএম
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ক্ষমতার জন্য বিএনপি মরিয়া হয়ে গেছে। ক্ষমতায় আসতে হলে প্রথমে তাদের এদেশের মানুষের কাছে মাফ চাইতে হবে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করেছে বিএনপি, আওয়ামী লীগের ভোটারদেরকে চিহ্নিত করে করে তারা নিশ্চিহ্নের চেষ্টা চালিয়েছে। ঐ সকল নির্যাতিত জনগণ যেন বিচার না চাইতে পারে সেই জন্য বিচার প্রার্থীদের ভয় দেখাতে তারা আবার বিচারালয়েও বোমাবাজি করেছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণকে শাসন করতে চান আপনারা? আপনাদের অত্যাচার-নির্যাতনের বিচার যেন এদেশের মানুষ না চাইতে পারে এবং গণমাধ্যম যেন প্রকাশ না করে সেজন্য আপনারা বিচারালয়ে এবং প্রেসক্লাবে সেদিন বোমাবাজি করেছিলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ৬৩ জেলার প্রেসক্লাবে বোমা মেরেছিলেন এবং দুইজন বিচারককে হত্যা করেছিলেন। সিনেমা হলেও বোমা মারতে ছাড়েন নাই। এতে প্রমাণ হয়, আপনাদের লক্ষ্য এদেশের সাধারণ মানুষ; তাই বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষ ও আমজনতাকে আপনারা আপনাদের সন্ত্রাসের শিকার বানান। সেজন্যই অগ্নিসন্ত্রাস করে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে মারতেও আপনারা দ্বিধাবোধ করেন নাই। এই সকল অপকর্মের জন্য প্রথমে আপনাদের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, আপনাদের সময় ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, সার এবং বিদ্যুতের দাবিতে কৃষকের উপর গুলি চালিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে আমাদের সময় বিনামূল্যে বই বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প, পদ্মা সেতু, শেখ মুজিব কর্ণফুলী টানেলসহ আরও অনেক অর্জন। আপনারা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিলেন, অপারেশন ক্লিন হার্ট করেছিলেন, বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছিলেন। আর আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি, জঙ্গিবাদ মুক্ত করেছি, দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে শক্তিশালী করেছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করেছি।
বিএনপি-জামায়াতকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করবেন আমরা সেটা সহ্য করবো না। ’৭৫-এর পরবর্তী স্বপ্ন ভুলে যান, ২০০১ এর স্বপ্ন ভুলে যান। সেসব দিন চলে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ এমন একটা সংগঠন যাকে সারা পৃথিবীর মানুষ চিনে। কারণ এখন আমরা উন্নয়নের শিখরে অবস্থান করছি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে এখন সারা বিশ্ব জানে। শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের রোল মডেল, অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কৌশল এবং পদ্ধতি এখন সারা বিশ্ব অনুসরণ করে। অতএব ঐ বিদেশে বসে সস্তা রাজনীতি করার দিন শেষ।
যুবলীগের এ নেতা বলেন, আমরা আমাদের কর্মের মাধ্যমে অধিকার অর্জন করেছি যে আমরাই এই রাষ্ট্রের পরিচালনার দায়িত্বে থাকব। আওয়ামী লীগ এদেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে; আর আজকের আওয়ামী লীগ সরকার এদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে। আমরা উন্নয়নের শিখরে চলে গেছি এবং আমরাই এই উন্নয়নের ধারা সমুন্নত ও অব্যাহত রাখব।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জনাব আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, নবী নেওয়াজ, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা: মো. ফরিদ রায়হান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা: মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।