প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০১:৩৩ এএম
অবকাঠামো ও নিরাপত্তার অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহীর সপুরায় অবস্থিত বিসিক শিল্পনগরী। সমস্যাগুলোর সমাধান না করেই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন নতুন আরও একটি শিল্পনগরী চালু করতে যাচ্ছে।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাজশাহী মহানগরীর সপুরা এলাকার বিসিক শিল্প নগরী। এখানে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেনের পানি রাস্তায় জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট তো আছেই। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করে রাজশাহীর খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় ১৭২ কোটি ব্যয়ে ৫০ একর জমিতে বিসিক শিল্পনগরী-২ চালু করতে যাচ্ছে। এতে ৩টি ক্যাটাগরিতে ২৮৬টি প্লটের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ৩৯টি। বিসিক কর্তৃপক্ষের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে উদ্যোক্তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন উৎপাদনমুখী শিল্প থেকে।
শুধু তাই নয়, নজরদারির অভাবে শিল্প কলকারখানার নামে জায়গা নিয়ে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা নিজেদের বসবাসের জন্য আবাসিক ভবন বানিয়ে ফেলেছেন। যার প্রমাণও মেলে এক উদ্যোক্তার স্বজনের বক্তব্যে। অভিযুক্ত উদ্যোক্তার স্ত্রী বলেন, ‘কী ব্যবসা করেন সেটা তিনি (তার স্বামী) ভালো জানেন। আমরা এখানে প্রায় গত ৪০ বছর থেকে বাস করছি।’
এদিকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন শিল্প নগরীতে বিসিক প্লটের যে দাম নির্ধারণ করেছেন, তারচেয়ে কমে বাইরে প্লট পাওয়া যাচ্ছে। প্লটের দাম বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা আবেদন করতে চাচ্ছেন না।’ ৩ ক্যাটাগরিতে এসব প্লট নির্মাণ করা হয়েছে। এ- ক্যাটাগরির প্লট ৬ হাজার স্কয়ার ফিট, বি-ক্যাটাগরির প্লট ৪ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিট ও স্পেশাল প্লটগুলো ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার স্কয়ার ফিট।
তবে নানা অব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিসিকের কোনো কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বিসিকের আঞ্চলিক পরিচালক উপসচিব মো. রেজাউল আলম সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে বক্তব্য দিবেন আমাদের চেয়ারম্যান, সচিব ও মন্ত্রী। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’
তবে সম্প্রতি বিসিক শিল্পনগরী-২ পরিদর্শন করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহী করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বিসিক শিল্পনগরী-২ এ প্লট নিতে প্রতি কাঠায় খরচ হবে প্রায় ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পাশাপাশি ৫০ কোটি মূলধনের মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারাও প্লটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সাজেদ/