প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ১২:৩৫ এএম
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এর জবাবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকার কৌশল নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকের খবর জানেন? পল্টনে মোটামুটি একটা সমাবেশ হয়েছে। ১২ দলীয় জোটের সমাবেশ দেখলাম বিজয়নগরে, সব মিলিয়ে ২৪ জন। ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে বসে আছে। মঞ্চে ২০ জন সামনে সাংবাদিকসহ আরও ১৫ জন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন দল উপস্থিত ছিল, চার দল নেই— সাত দলীয় ঐক্যজোট।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারপর বিএনপির সমমনা ১২ দল। এই সমমনারা ওই এলাকাজুড়েই আছে। তারা ফুটপাতের ওপর বসে আছে। সেখানে শ্রোতাও নেই। সব ফুটপাত কেন্দ্রিক। তারপরে লিবারেল পার্টির দৃশ্যপট দেখলাম অনলাইনে। কয়েকজন হাতে গোনা বসে আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘দুঃখ লাগে, কোনো কোনো মিডিয়ার এতো দরদ। দুই নেতা ২৬ দিন কারাবাস করেছে। এমনভাবে লিখেছে যেন ২৬ হাজার বছর।’
‘ফখরুল সাহেব কি জানে ৭৫’র জেনারেল জিয়াউর রহমান অনেকের সঙ্গে আমাকেও আড়াই বছর জেলে রেখেছিলেন। আমাকে বের করেননি। রিট করে মুক্তি পেয়েছি। ফখরুল সাহেব, আমার আড়াই বছর, আর আপনার ২৬ দিন। ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি কি কারাগারে ছিলেন? আমরা কতদিন ছিলাম? এখানেও দেড় বছর’— বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি করে এ জীবনে চার বছর জেল খেটেছি। বিএনপি আমলে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, তখন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ৫ বছরে ৫০ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি।’
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছেন, তারা নাকি এদেশকে মেরামত করবেন? কী মেরামত করবেন? আপনারা ধ্বংস করেছেন। আবার তারা ক্ষমতা পেলে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবেন। মেরামত তো করে শেখ হাসিনা। উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় আসলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপি নামক অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জনগণ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কী দেখাবেন? আপনাদের মুখে মিথ্যাচার ও বিষেদগার ছাড়া আর কিছু নেই। মেট্রোরেল নেই, পদ্মা সেতু নেই। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নেই। বঙ্গবন্ধু টানেল, উড়াল সেতু, আন্ডারপাস, ছয় লেনের রাস্তা নেই। একদিনে শত সেতু শত রাস্তার উদ্বোধন করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাই পারে, শেখ হাসিনাই পারবে।’ তাই দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
সাজেদ/