• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

২ দিন পরেই শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার বয়ান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ১১:০৫ পিএম

২ দিন পরেই শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার বয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। ২ দিন পরেই শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার বয়ান। প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং ৬ দিনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। তাবলীগ জামাত আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল ও সার্থক করতে বিশ্ব ইজতমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ চলছে। ইজতেমা ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইজতেমা ময়দানে বিপুল সংখ্যক মানুষ গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে এসে দলে দলে ভাগ হয় স্বেছাশ্রম কাজ করছেন। নিচু জমি ভরাট, সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়ঃনিষ্কাশন কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। ইজতেমা ময়দানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, মাইক ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নির্মাণ হচ্ছে ৭টি ভাসমান ব্রিজ। এসব কাজ শেষ হলেই বিশাল মাঠের বিভিন্ন পয়েন্টে লাগানো হবে বৈদ্যুতিক তার ও বাতি। ৫৪ তম এই বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে, নানান পদক্ষেপ নিয়েছেন তাবলীগ জামাতের মুরুবিরা। তবে ইজতেমার শুরুর আগেই সব কাজ শেষ হবে বলে তারা আশাবাদী।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করবে। রোগী পরিবহনের জন্য সার্বক্ষণিক ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন থাকবে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান বলেন, নিয়মিত পানি ছিটানো, মশার ওষুধ দেওয়া, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে সার্বক্ষণিক একাধিক টিম কাজ করবে। মুসল্লিদের যে কোনো সমস্যায় তারা কাজ করে যাবে।

জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুব উজ জামান বলেন, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া স্পেশালাইজড টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নি নির্বাপণের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা হবে। তুরাগে নৌ টহলও থাকবে। তিনি বলেন, দুই পর্বের ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ইজতেমা আয়োজনে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না।

উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা। ২০১১ সাল থেকে এক সাথে এতো ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্কুলান না হওয়ায় দু’পর্বে ইজতেমা চলার সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

এনএমএম/

আর্কাইভ