প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ১০:৪২ পিএম
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার নেই বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান শুনানি করেন। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ২২ জন নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা জামুকার একটি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেছিলেন ।
এ বিষয়ে আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করেছেন, সাব কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার জামুকার নেই। এটা সরকার ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়। ২০০৩ সালে তৎকালীন সরকার গঠিত সাত সদস্যের যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ জনের বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করে। পরে ২০০৫ সালে ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে রিটকারী ২২ নৌ-কমান্ডোকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে তারা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সম্মানী ভাতা পেয়েছেন। কিছু অতি উৎসাহী মানুষের স্বেচ্ছাচারিতায় ওই নৌ-কমান্ডোদের আবারও যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হয়। পরে জামুকা যাচাই-বাছাই করে তালিকা থেকে এই ২২ জনকে বাদ দেন। এই সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
উচ্চ আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন এবং জামুকার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। ওই রুলের শুনানি শেষে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫তম সভায় গৃহীত ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
এনএমএম/