প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৪:৪১ এএম
বুধবার সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে আবৃত রাজধানী ঢাকা। সারাদিনে দেখা মেলেনি সূর্যের। দেশের অন্যত্রও বিস্তৃত ছিল কুয়াশার চাদর। এদিকে গত কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রা কমলেও এবার বাড়ার আভাস মিলছে। তবে তীব্র শীতের অনুভূতি খুব একটা কমছে না। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এমন সর্বশেষ এ পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কিছু জায়গায় রোদের দেখা মিলতে পারে। দু-এক দিন পর ফের বেশি মাত্রায় কুয়াশা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উত্তরের হিমেল বাতাস। দেশজুড়ে এমন বাতাস বইতে পারে আরও কয়েক দিন। আজ রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, প্রাকৃতিক দুটি শর্ত পূরণ না হওয়ায় কুয়াশা কাটছে না। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় উত্তর/ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। আর বর্ধিত পাঁচদিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে এবং অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৫টা ২৫ মিনিটে। এখন যে কুয়াশা হচ্ছে, তা স্থানীয়ভাবে সৃষ্টি ও তাপমাত্রার তারতম্যের জন্যই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান।