• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মেট্রোরেলে উঠতে যতরকম অসভ্যতা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২২, ০৩:০৫ এএম

মেট্রোরেলে উঠতে যতরকম অসভ্যতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বপ্নের মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। যানজটের শহরে জাদুর এই মেট্রোরেল নিঃসন্দেহে জাদুর কাঠি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) চালু হয়েছে বাঙালির মাথা না নোয়াবার এক মূর্তিমান প্রতীক মেট্রোরেল।

স্বপ্নের এই যানটি একবার ছুঁয়ে দেখার সাধ প্রায় সবার মনেই জেগেছে। তবে এই সাধ পূরণ করতে গিয়ে কেউ কেউ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে বলেছিলেন, ‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি’। কবিগুরুর ‘বঙ্গমাতা’ কবিতার এই লাইনটির বাস্তবিক প্রতিফলন ঘটে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও তে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভাইরাল এক ভিডিও তে দেখা গেছে, কিছু উৎসুক জনতা মেট্রোরেলে আগে চড়ার জন্য এক নোংরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন। তারা কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই উত্তরার উত্তর গেট টপকে মেট্রোরেলে প্রধান ফটকে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।

মাহাবুর আলম সোহাগ নামে এক সাংবাদিক তার ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ তু‌মি ছাড়া আমাদের ইজ্জত রক্ষা করার কেউ নেই’।

রাজিব চক্রবর্তী নামের আরেক ব্যক্তি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই অসভ্য জাতির জন্য উন্নয়ন একটা উপহাস মাত্র।’

এ ছাড়াও আয়শা সিদ্দিক আশা, নাজমুল হাসান, শরিফুল হাসানসহ অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে নিন্দা জানিয়েছেন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বেলা ১টা ৫৩ মিনিটে তাদের নিয়ে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয় মেট্রোরেল।

প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এ পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে, পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়নো হবে।

মেট্রোরেলের প্রথম পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল ২০০৫ সালে। রাজধানীর জন্য তৈরি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) বলা হয়েছিল মেট্রোরেলের কথা। মেট্রোরেলের মোট ব্যয় প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৯ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ১০ বছর। পরিশোধ করতে হবে ৩০ বছরের মধ্যে।

আর্কাইভ