• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি অনেকে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০৩:২৭ এএম

দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি অনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভোট কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অকেজো হয়ে যায়। ২৫ মিনিট পর বিশেষজ্ঞ এসে ঠিক করে দিলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

আবার দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ভোট দিতে পারেননি অনেকে। বেশ কয়েকজন ভোটারকে সকাল সোয়া ১০টায় মন খারাপ করে কেন্দ্র থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মাঝগাঁও ইউপি নির্বাচনে আগ্রান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের আগ্রান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে জটিলতার কথা জানান ভোটার ও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ইভিএম মেশিন ঠিকমতো কাজ না করায় দুটি বুথে ২০-২৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। অভিজ্ঞ টিম এসে ইভিএম ঠিক করে দেওয়ার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ চলছে। কখনো কখনো আঙুলের ছাপ দিলে ছবি আসছে না। অনেক ভোটারদের আঙুলের ছাপ ঠিকঠাকভাবে আসছে না। এছাড়া ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত নয়। এসব কারণে ভোটগ্রহণের গতি একটু ধীর।

এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আগ্রান গ্রামের আজহার হোসেন, আব্দুল আউয়াল, রমজান আলী ও হুমায়ন কবীরসহ আটজন ভোটার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজ ফেলে রেখে সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। অথচ ফিঙ্গার না মিলায় ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে। ভোটই যদি দিতে না পারি তাহলে এত দামের মেশিন দিয়ে কী লাভ।

তিরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা তিরাইল গ্রামের বৃদ্ধা খোপাজান বেওয়া (৮৫) ভোট দিতে না পেরে বলেন, আল্লাহর বিয়ানে এসে লাইনে দাঁড়াইছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত দাঁড়াই থাকি আঙ্গুলের ছাপ নাকি মিলতিছে না। ভোটই দিতে পান্নু না, কি আর করা, বাড়িত চইলি যাচ্চি।

সকাল পৌনে ১০টায় পারকোল মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, ইভিএম মেশিনে ভোট নিতে একটু দেরি হচ্ছে। সোয়া এক ঘণ্টায় ৭৮টি ভোট কাস্ট হয়েছে।

বেলা ১১টায় তিরাইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হয়ে হাফেজা বেগম নামে এক ভোটার বলেন, আমি সকাল ৮টায় ভোট এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে এরপর ভোট দিয়েছি। মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে অনেক দেরি হচ্ছে। দাঁড়িয়ে থেকে কোমর ব্যথা হয়ে গেছে।

পারকোল মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার নারায়ণ চন্দ্র সরকার (৬৭) বলেন, জীবনের প্রথম ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে একটু শঙ্কায় ছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত নতুন পদ্ধতিতে নিজ হাতে ভোট দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।

বনপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত কেএম জাকির হোসেন (নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার (নারিকেল গাছ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় ৩১ জন কাউন্সিলর এবং ৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ইতোমধ্যেই ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শরীফুন্নেসা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩ প্লাটুন বিজিবি, ৪০০ পুলিশ ফোর্স, ৪২৫ জন আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়াও সার্বক্ষণিক ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ র্যা বের ২টি টিম টহলে রয়েছে।

আর্কাইভ