প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ০৩:৫৮ পিএম
মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করার মাধ্যমে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো বাংলাদেশে। শত বাধা পেরিয়ে ঢাকাবাসীর বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হয়েছে। চালুর একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে মেট্রোরেল। ফলে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু হচ্ছে।
সকাল ৮টায় আগারগাঁও থেকে উত্তরা এবং উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে চলাচল শুরু করেছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলে চড়তে সকাল থেকেই আগারগাঁও স্টেশনে ভিড় করেছেন যাত্রীরা। কেউ অফিসগামী, কেউবা এসেছেন পরিবারসহ। আবার অনেকেরই লক্ষ্য শুধু মেট্রোরেলে ঘোরা। প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলের স্টেশনে প্রবেশ করেন কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এরপর একে একে স্টেশনে গিয়ে টিকিটের জন্য লাইন ধরেন অন্য যাত্রীরাও।
ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ২৯ তারিখ সকাল থেকে আমাদের যে কর্মসূচি আছে, সেখানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানো হবে। প্রথমদিকে কোনো স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে না। উত্তরা থেকে একটি ট্রেন, আরেকটি ট্রেন আগারগাঁও স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে। উভয়দিকে ট্রেনগুলো প্রতি ১০ মিনিট পরপর চলাচল করবে। আমাদের প্রত্যাশা হলো তিন মাস পর, সেটি ২৬ মার্চও হতে পারে, আমরা ওই দিন থেকে পূর্ণ অপারেশনে যাব। এ সময়ের মধ্যে মানুষ মেট্রোরেলে চড়ায় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। শুরুতে মেট্রোরেল পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যাচ্ছে না।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২ কোটি ঢাকাবাসীর বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন।
এনএমএম/এএল