প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ০৩:১৪ পিএম
পান চিবোতে চিবোতে একরকম হন্তদন্ত হয়ে আসা সাভারের মাছ ব্যবসায়ী মুরাদ আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে ঢোকার মুখে আনসারকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন, টিকিট কি ছাড়ছে? কখন ছাড়বে?
মাছের এ ব্যবসায়ী থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। সকালে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। মেট্রোরেল দেখা, শখের বশেই ভ্রমণ করার ইচ্ছা থেকে আগারগাঁও স্টেশনে এসেছেন তিনি।
পানের পিক ফেললে জরিমানাসহ মেট্রোরেলে ওঠার নিয়ম শৃঙ্খলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পান খাইয়াই ঢুকমু। নিয়ম জানি। লাইনে সিরিয়াল পাই নাই। জানি না আজ উঠতে পারবো কি না? লম্বা লাইন।
শুধু মুরাদ নন, রাজধানীর জুরাইনসহ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার নিয়ে ভোর থেকে আগারগাঁও স্টেশনে ভিড় করতে দেখা যায় বহু যাত্রীকে।
‘যে পরিমাণ ভিড় মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে, তাতে সারাদিনেও সব যাত্রীকে হয়তো ওঠানো সম্ভব হবে না’, লাইনে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করেন রাজধানীর জুরাইন থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. শামসুল আলম।
তিনি সিটি নিউজ ঢাকা কে বলেন, ছেলে আবু সালেহ নাহিদকে নিয়ে এসেছি। মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ। সারাজীবন সিনেমাতেই দেখেছি। আজ তা বাংলাদেশেই বাস্তব। তা নিজের চোখে দেখা, ভ্রমণ করার শখেই আসা।
ছেলে নাহিদ বলেন, খুব ভালো লাগছে। বাবার সঙ্গে সেই ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। মেট্রোরেলে উঠবো দিয়াবাড়ি যাবো, আবার আসবো।
কিশোরগঞ্জ থেকে সপরিবারে ভোরে ঢাকায় এসেছেন সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, মেট্রোরেল দেখার জন্যই এসেছি। ভ্রমণ করবো, ঘুরবো দিয়াবাড়ি। এরপর আবার চলে আসবো আগারগাঁও। রাতেই ফিরে যাবো কিশোরগঞ্জ। খুবই আনন্দ লাগছে যে, বাংলাদেশ মেট্রোর যুগে।
ছেলে পবিত্র বলেন, অনেক আনন্দ হচ্ছে। প্রথম মেট্রোরেলে উঠবো ভেবেই খুশি লাগছে।
রাজধানীর বাড্ডা থেকে আসা শিক্ষার্থী তাওহিদ বলেন, সকাল ৭টায় এসেছি। আটটায় ছাড়ার কথা কিন্তু ছাড়তে পাড়েনি, প্রথম দিনেই দেরি হচ্ছে। মূলত দেখার জন্যই এসেছি। ব্যবস্থাপনা ভালো লাগছে না। বিশৃঙ্খলা দৃশ্যমান। টিকিট ছাড়তেও দেরি। বিষয়টি ভালো লাগেনি।