প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৬:৫১ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে প্রথম ফেস উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেছি। বাকি কাজ শেষে মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করব। মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। এটি প্রথম দেশের বৈদ্যুতিক রেল, দূর নিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হবে। এটির সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এটি পরিবেশবান্ধব, তাই যুগপোযোগী একটি যান হবে মেট্রোরেল।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধ সালাম জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পথে। এ যাত্রায় দেশের মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা সহযোগিতা না করলে পদ্মা সেতু হত না, মেট্রোরেল হত না।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল চালাতে আর বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আমরা নিজেরাই গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে এটি পরিচালনা করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলাম ঢাকার যানজট নিরসনে কাজ করব। আজকে মেট্রোরেল সেই মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আরও কাজ চলছে, সমীক্ষা চলছে। মেট্রো প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ট্রেনিং অব্যহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাস্তবায়িত হওয়ার পর নতুন ১২ হাজার গ্র্যাজুয়েট ও মাঠ প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে। যেটা বেকারত্ব শুধু দূর না, আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। ফলে মেট্রোলের নেটওয়ার্ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে না। আমরা নিজেরাই সব পরিচালনা করতে পারব।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলে নারীদের জন্য আলাদা কোচ থাকবে, প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য সুব্যবস্থা থাকবে, শিশুদের পরিচর্যার ব্যবস্থা থাকবে মায়েদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা পয়সায় ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। এ সময় মেট্রোরেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
এনএমএম/এএল